
|| নিউজ ডেস্ক ||
দুর্নীতির ধারণা সূচকে আবারও দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ। এই সূচকে বাংলাদেশের আরও অবনতি হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১৫১তম। এর আগে গত বছর এই অবস্থান ছিল ১৪৯তম। সর্বনিম্ন স্কোর পাওয়া দেশগুলো মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। অর্থাৎ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ এখন ১৪তম অবস্থানে রয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২৪’-এর বৈশ্বিক প্রকাশ উপলক্ষে ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। বিগত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্কোর হয়েছে ২৩। সমান স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে রয়েছে কঙ্গো ও ইরান।
টিআই বলেছে, ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩, যা গতবারের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম। গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৪।
ইফতেখারুজ্জামান জানান, ২০১২ সালের পর এবার দুর্নীতি সূচকে সবচেয়ে কম স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের স্কোর কমেছে।
সিপিআই সূচকের বিশ্লেষণ বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের স্কোর গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অর্থাৎ স্কোর বিবেচনায় বাংলাদেশের নিম্নমুখী যাত্রা সুস্পষ্ট। ২০১২ সালে থেকে সূচকে ব্যবহৃত ১০০ ছেলে বাংলাদেশের স্কোর ২০২২ সাল পর্যন্ত ‘২৫ থেকে ২৮’-এর মধ্যে আবর্তিত হয়েছে। ২০২৩ সালে স্কোর এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে ২৪ এবং ২০২৪-এ আরও এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে ২৩ হয়েছে।
সূচকে বাংলাদেশের অবনতি প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যথেচ্ছ লুটপাট, দুর্নীতিবাজদের তোষণ ও আইনের সঠিক প্রয়োগ না হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থানের ক্রম অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশ দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ হারাতে বসেছে। আওয়ামী লীগ আমলে সরকারি প্রকল্পে কেনাকাটায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। অথচ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুদকসহ দুর্নীতি প্রতিরোধে সৃষ্ট সংস্থাগুলোর নিস্ক্রিয়তায় অর্থপাচার-দুর্নীতির বিস্তার ঘটেছে।