নরসিংদীর ঘোড়াশাল পলাশে নবনির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ‘জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব’ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১২ নভেম্বর’২৩) দুপুর পনে ১টায় তিনি এই কারখানার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এরপর সার কারখানা স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, কারখানাটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে প্রকল্পটির অবকাঠামোগত কাজ বাধাপ্রাপ্ত হলেও ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়। চীনের সিসি সেভেন এবং জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর দায়িত্ব পায়। এরপর ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১১০ একর জমির ওপর নির্মিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২১ লাখ টাকা আর জাপান ও চীনের ঠিকাদারদের যৌথ কনসোর্টিয়াম ব্যাংক অব টোকিও-মিৎসুবিশি ইউএফজে লিমিটেড ও দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড ঋণ দেয় ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউরিয়া সারের চাহিদা মোটানো ও সুলভমূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিত, আমদানি হ্রাস করে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কারখানাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, নরসিংদীর ঘোড়াশাল পলাশে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ‘জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব’ ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে। পরিবেশবান্ধব এই কারখানায় বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। দিনে উৎপাদন হবে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।