|| নিউজ ডেস্ক ||
দেশের উচ্চশিক্ষায় আগামী দিনের রূপরেখা নির্ধারণে একগুচ্ছ প্রস্তাবনা জানিয়েছেন বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয় সংশ্লিষ্টরা। ‘বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ নির্দেশনা’ নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় এসব প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। সোমবার (০৭ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীতে এপিইউবির কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবণা উপস্থাপন করেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান। উপস্থাপনায় তিনি দেশ এবং দেশের বাইরের উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
তিনি গবেষণা এবং দক্ষতা উন্নয়নসহ দেশের উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে করণীয় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেন। ভাইস চ্যান্সেলর থেকে শুরু করে সমস্ত নিয়োগ যোগ্যতা অভিজ্ঞতা এবং গবেষণার উৎ্পাদনশীলতা দ্বারা প্রমাণিত মেধা—ভিত্তিক হওয়া উচিত। বর্তমান জটিল, অকার্যকর এবং বেদনাদায়ক ভর্তি প্রক্রিয়াকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত ভর্তি ব্যবস্থায় পরিবর্তন করা; ইউনিফাইড মার্কেট চালিত জনশক্তির চাহিদাভিত্তিক blended শিক্ষার পাঠ্যক্রম। সকল শিক্ষাবিদকে গবেষণায় নিযুক্ত করা এবং একাডেমিক পদোন্নতি এবং নিয়োগের জন্য উচ্চমানের প্রকাশনা, উদ্ধৃতি এবং H সূচক অন্তর্ভূক্ত করা; ব্যবসা, শিল্প এবং NRB গবেষকদের সাথে গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সামদানী ফকির , ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. সবুর খান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিইউএ) সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ এ সোবহানী, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মামুন হাবিব, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. নাহরিন মাজিদ, চট্টগ্রাম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন খালেদ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহ আলম চৌধুরী, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী। উক্ত গোলটেবিল আলোচনায় সবাই বলেন বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয়ে গবেষণানির্ভর কাজ বাড়ানো উচিত।
এছাড়াও শিক্ষা সার্বজনীন এবং সবার কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করতে হবে।শিক্ষার্থীদের কোর্স—কারিকুলামে তা যুক্ত করতে হবে এবং হালনাগাদ করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উন্নয়নেও কাজ করতে হবে।