বুধবার, মার্চ ১২

‘তৌহিদি জনতা’ বলায় উপদেষ্টা মাহফুজের দুঃখ প্রকাশ

|| নিউজ ডেস্ক ||

ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে ‘তৌহিদি জনতা’ লেখার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সমন্বয়ক মাহফুজ আলম।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই দুঃখ প্রকাশ করেন মাহফুজ।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘তৌহিদি জনতা’ প্রসঙ্গে মাহফুজ লিখেছেন, ‘আমার কোনো কোনো বক্তব্য হয়ত কারো কারো মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদি জনতা বলাটা। আপনারা যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ- নাখোশ হয়েছেন, আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। এছাড়া গত কয়েক মাসে অন্য কোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে, সেক্ষেত্রেও আমি আমার বক্তব্য পুনর্বিবেচনার পক্ষে। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিং বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জরুরি। আমরা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চাই না।’

উপদেষ্টা মাহফুজ আরও লিখেন, ‘এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত ফাইনালাইজ করতে অন্তত ৫/৬ টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হইসে। ফলে, এটা আসলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের অংশগ্রহণ ও পরামর্শের ও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নন। আর, জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারো সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে, তারা অবশ্যই পাবিলিক- প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা- স্কুল- কলেজের ছাত্রদেরকেই লেজিটিমেট নেতৃত্ব হিসাবে মানতেন।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে। সবাইকে নিয়ে এগুতে হবে কিন্তু, Saboteur দের বাদ দিয়ে। Sabotage বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস – এসব যেকোন বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে Gentlemen’s Agreement ও থাকবে না এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।’

উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, ‘আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এদেশের জনগণকেই উপকৃত করবে। গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিক ভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেয়া যাবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *