মঙ্গলবার, জুলাই ১

তীব্র শীতের প্রধান কারণ জানালেন আবহাওয়াবিদরা

দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। দুদিন ধরে প্রচন্ড শীতে কাঁপছে দেশবাসী। বাইরে বের হলেই যেন হাত-পা জমে যাচ্ছে। কষ্ট পাচ্ছেন শ্রমজীবীরা। শীতের প্রকোপে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, সারা দেশে যে তীব্র শীত পড়েছে, শৈত্যপ্রবাহ এর প্রধান কারণ নয়। মূল কারণ হলো দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া। অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এলে শীত বেশি লাগে। দিনে সূর্যের আলো কম আসায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা ওঠানামা করে না। ফলে ওই দুই বিপরীতধর্মী সময়ে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। আগামী দুই-তিন দিন শীতের অনুভূতি বেশি থাকতে পারে।

এরপর ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি আকাশ মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কিছুটা বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পর আবার তীব্র শীত নামবে। মাসের বাকি সময় থাকতে পারে তীব্র শীত। এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল, সিলেট, যশোর ও চুয়াডাঙ্গাজুড়ে বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।

গতকাল শুক্রবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ছিল টেকনাফে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ১৮.৫ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ শনিবারও সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত থাকবে কুয়াশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *