
|| ইবি প্রতিনিধি ||
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ৯৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কুরআনিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজী এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সাবেক ডিন ও আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. আ ব ম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী সময়োপযোগী এই দাবিটি তুলে ধরে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেন।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় ছাত্রসংগঠনটির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের গগন হরকরা হলে ৯৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকিব মোঃ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শামসুল আলম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম ইয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও আসাদুল্লাহ আল গালিব সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিবৃন্দ, শিক্ষকমণ্ডলী, সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
তালাবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে থিওলজী এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. আ ব ম সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকীর প্রস্তাবনা নিম্নরূপ:
১. যেহেতু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে অনেক দূরে সরে গেছে তাই আজকের দাবি কুরআনিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আল কোরআন বিষয়েই ১১ টি অনুষদ থাকবে।
২. মাদ্রাসার ছাত্রদের পূর্বের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যাচে কি হলো, যে অনুসরণ ছাড়াও অন্য দুটি অনুষদের প্রতি বিভাগে ৬৫% মাদ্রাসা ছাত্র ভর্তি করা হত। কিন্তু মাদ্রাসা ছাত্রদের সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে গত ৪০ টি বছর। মাদ্রাসা ছাত্রদের সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এখন হয়েছে।
৩. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্থাপনা সংশ্লিষ্ট কৃতিমান ব্যক্তি যেমন মাওলানা আকরম খাঁ, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, মাওলানা আব্দুল্লাহিল বাকী, ড. এম এ বারী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মাওলানা শওকত আলী, ড. এস এম হোসাইন, মওলানা আব্দুর রহিম, আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ডঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ক্রমান্বয়ে এদের নামে নামকরণ এখন সময়ের দাবি।
৪. ফিডার প্রতিষ্ঠান ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সরকারীকরণ করা। দেশের ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি হলেও একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসা অদ্যাবধি সরকারি হয়নি। এতে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অনেক মাদ্রাসা আপনা আপনি বন্ধ হয়ে যাবে শিক্ষার্থীর অভাবে।
৫. সকল জেলায় একটি করে ফাজিল কামিল এবং সকল উপজেলায় একটি করে দাখিল আলিম মাদ্রাসা সরকারি করতে হবে।
৬. মাদ্রাসা ছাত্রদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার এবং কর্মক্ষেত্রে অবাধ সুযোগ প্রদান করতে হবে।
