ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ‘ট্রান্সজেন্ডার বা হিজড়া’ কোটায় ‘স্বেচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তনকারীরা’ ভর্তি হতে পারবেন না। তবে জন্মগতভাবে লিঙ্গ বৈচিত্র্যের অধিকারী শিক্ষার্থীরা এ কোটায় ভর্তি হতে কোনো বাধা নেই।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্ভুক্ত ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। সে পরিপ্রেক্ষিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটার ব্যাখ্যা দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর গত ২১ ডিসেম্বরের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া কোটায় ভর্তি বিষয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুস্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, ২০২২-২০২৩ সেশন থেকে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া কোটা প্রচলন করা হয়।
কেবল জন্মগতভাবে লিঙ্গ বৈচিত্র্যের অধিকারী শিক্ষার্থীরা ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া কোটায় ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কোটা শনাক্তকরণে সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রদত্ত হিজড়া (গেজেট নং সকম/কর্ম- ১শা/হিজড়া-১৫-২০১৩-৪০) পরিচয়পত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে হিজড়া শব্দের সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডার যুক্ত করার পর শব্দটি প্রত্যাহারে গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় একদল শিক্ষার্থী। গত ৩০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন। গত ৩ জানুয়ারি রাজু ভাস্কর্যে চার ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এই শিক্ষার্থীরা।