
|| ঢাকা আলিয়া প্রতিনিধি ||
মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকায় সাইকেল চুরির ঘটনা বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। গত এক মাসে মোট চারটি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি যাওয়া সাইকেলের একটিও ফেরত না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
গত কয়েকটা ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চুরি যাওয়া সাইকেলগুলোর মধ্যে ঢাকা আলিয়ার আল্লামা কাশগরী রহঃ হলের ক্যান্টিনের সামনে থেকে ২টি, অতিথি কক্ষের সামনে থেকে একটি ও রুমের তালা ভেঙে একটি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ক্যাম্পাসে একটি সাইকেল অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। টিউশনি, ক্লাস কিংবা অন্যান্য কাজগুলোতে ব্যবহারের জন্য অনেক শিক্ষার্থীর একমাত্র অবলম্বন হয়ে ওঠে নিজের কষ্টার্জিত টাকায় কেনা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই বাহনটি। তবে সাইকেল চুরির ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন এসব শিক্ষার্থী। চুরি যাওয়া সাইকেলগুলো ফেরত না পাওয়ায় প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। ক্ষোভও প্রকাশ করছেন অনেকেই।
যোগাযোগের একমাত্র বাহনটি হারিয়ে ২০-২১ সেশনের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আহমেদ নাইম বলেন, হলে সাইকেল চুরির মূল কারণ প্রশাসনের গাফিলতি ও বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ। গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসিটিভি ও গ্যারেজ নেই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, সিসিটিভি স্থাপন ও গ্যারেজ ব্যবস্থা উন্নত করা জরুরি।
২১-২২ সেশনের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মন্ডল রাকিব বলেন, হলে সাইকেল চুরি, ছিনতাই প্রভৃতি অপরাধ বৃদ্ধির মূল কারণ বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাব। প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে। প্রতিটি হল ভবনে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি স্থাপন এবং গেটগুলোতে কড়া চেকিং ব্যবস্থা চালু করা জরুরি।
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, হলে সিকিউরিটি গার্ড থাকবে, মেইন গেইটগুলোতে থাকবে কিন্তু সেখানে কোথাও গার্ডের ব্যবস্থা নাই। হলে যারা প্রবেশ করছে তাদের নির্দিষ্ট কার্ড নাই। ফলে কেউ ঢুকলে সে কি আসলেই হলের শিক্ষার্থী এটা বুঝার কোন উপায় নেই। যার ফলে যে যার মতো করে রুমে ঢুকছে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। প্রতিটি হলের সামনে সিকিউরিটি গার্ড ও সিসিটিভি ব্যবস্থা করার দাবি করেন এ শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে হল সুপার মোঃ আব্দুর রহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইকেল চুরি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আমাকে অবগত করছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে অধ্যক্ষ মহোদয়ের সাথে বৈঠক করেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো পুনরায় স্থাপন করা হচ্ছে এবং নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদেরও নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।ঈদের পরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন সহ বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নতুন গ্যারেজ তৈরি করা হবে।