পর্দা নামল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত দু’দিন ব্যাপী জব উৎসবের। দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা উচ্চশিক্ষার একটি অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য নিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয় বারের মত আয়োজিত হলো বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ জব উৎসব ’ডিআইইউ জব উৎসব ২০২৩’। আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর’২৩) সাভারের বিরুলিয়াস্থ ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কেন্দ্রে উৎসবটির সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দু’দিন ব্যাপি এই আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশনের সচিব সামসুল আরেফিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান, একাডেমিক এফেয়ার্সের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, এসপিরেশন টু ইনোভেশন প্রকল্পের স্ট্র্যাটিজি এন্ড ইনোভেশন স্পেশালিস্ট আসাদুজ্জামান ও প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ ভূইয়া ও ক্যারিয়ার ডেভেলাপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ড. তানভীর ফিত্তিন আবীর।
দু’দিনের এই জব উৎসবে ২০০টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তারা প্রায় ৩০০০ চাকরি এবং প্রায় ১০০০টি ইন্টার্নশিপ অফার দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চূড়ান্ত বর্ষের কিংবা সম্প্রতি গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা কমপক্ষে ৪২০০ চাকরি প্রত্যাশি অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও এই জব উৎসবে ২০৪০০ শিক্ষার্থীর স্ব মূল্যায়ন প্রশিক্ষণ, অন-ক্যাম্পাস জব, ইন্টার্ণশিপ, চাকুরি পরিবর্তন, কর্মসংস্থানের দক্ষতা পরীক্ষা এবং আ্যালামনাই ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগ সুষ্টি হয়।
এবারের আয়োজনের পার্টনার হিসেবে ছিল ঢাকা চেম্বার অবকমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (ডিসিসিআই), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), এএমসিএইচএএম, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম), সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, ই-ক্যাব, বাক্কো (ইঅঈঈঙ)। আর এ আয়োজসের নলেজ পার্টনার হল গো-এডু, এইচআরডিআই এবং এডমিশন ডট এসি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি ডিভিশনের সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও মানবিক গুণাবলী অর্জনের পাশপাশি ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিসমূহকে আয়ত্বের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ার সাথে সাথে বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতার পাশাপশি সফটস্কিলসমূহ বর্তমান চাকরি বাজারের প্রধান নিয়ামক বলে তিনি উল্লেখ করেন। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এ দক্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আমাদের তরুণ প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকারের গৃহীত নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব চালু করেছে, সারা দেশে আইটি পার্ক স্থাপন করেছে। উদ্যোক্তা উন্নয়নে শেখ কামাল ইনোভেশন ল্যাব স্থাপন করেছে এবং বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট চালু ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল চালু করেছে।