
|| জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম ||
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজনীতি। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে জেলার চারটি সংসদীয় আসনে মোট ৩০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এই তালিকার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জেলাজুড়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। নিচে আসনভিত্তিক প্রার্থীর সংখ্যা ও উল্লেখযোগ্য নামসমূহ তুলে ধরা হলো:
আসনভিত্তিক মনোনয়ন জমার পরিসংখ্যান:
কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী): এই আসনে সর্বোচ্চ ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হারিসুল বারি রনি, গণ অধিকার পরিষদের বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং বিএনপি থেকে সাইফুর রহমান রানা উল্লেখযোগ্য।
কুড়িগ্রাম-২ (কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী): এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ড. আতিকুর রহমান মুজাহিদ এবং জাতীয় পার্টির আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ।
কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর): এই আসনে ৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এখানে বিএনপি থেকে মো. তাসভিরুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টি থেকে আব্দুস ছাত্তার, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর মো: মাহবুবুল আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ডা: আক্কাস আলী লড়াইয়ে রয়েছেন।
কুড়িগ্রাম-৪ (রৌমারী, চিলমারী ও রাজিবপুর): এ আসনে ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, যা জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ। এখানে বিএনপির মো: আজিজার রহমান, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর মো: মোসস্তাফিজার রহমান, জাতীয় পার্টির কে ওম ফজলুল হকসহ জাকের পার্টি, বাসদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, স্বতন্ত্র এর প্রার্থীরাও রয়েছেন।
দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর অবস্থান
বিশ্লেষণে দেখা যায়, বড় দলগুলোর পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং খেলাফত মজলিশ-এর প্রার্থীরাও মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, যারা ভোটের সমীকরণে বড় প্রভাব ফেলতে পারেন।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় এখন সাধারণ ভোটারদের মধ্যে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। স্থানীয়দের মতে, চরাঞ্চল বেষ্টিত এই জনপদে যারা নদীভাঙন রোধ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন, তাদেরকেই বেছে নেবেন তারা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হবে এবং বৈধ প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
