বুধবার, নভেম্বর ২৬

টেকটনিক প্লেট স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত থেমে থেমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন হতে পারে

|| মোহাম্মদ রাজিবুল হাসান | নিজস্ব প্রতিনিধি ||

আজ ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা ছয় মিনিটে ঢাকা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে আবারও ৩.৭ রেকটার স্কেলের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এতে বুঝা যাচ্ছে, টেকটনিক প্লেট স্থিতিশীল নাহওয়া পর্যন্ত থেমে থেমে বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প হতে পারে। এমনি ধারণা করছেন ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা। তার প্রমাণও মিলছে ২১ তারিখ নরসিংদীর মাধবদীতে বড় ধরণের কাঁপুনির পর, ২২ নভেম্বর গাজীপুর বাইপাইল এলাকায় ৩.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এমন কম্পন থেমে থেমে বিভিন্ন এলাকায় হতে পারে। এর প্রধাণ কারণ হলো টেকটনিক প্লেটের অবস্থান।

পৃথিবীর ভেতরের তাপমাত্রা ও ম্যাগমার নড়াচড়ার কারণে টেকনিক প্লেটগুলোও নড়াচড়া করে। এই নড়াচড়াই মূলত অস্থিশীলতা তৈরি করে।

সে সময় প্লেটগুলো একে অন্যের সাথে ধাক্কা খায়, এবং এই ধাক্কার কারণে একে অপর থেকে আলাদা হতে চায়। এতে টেকনিক প্লেটের নিচে শক্তি জমতে থাকে আর যখন হঠাৎ এই শক্তি বের হতে চায় তখন ভূমিকম্পের তীব্রতা বাড়তে থাকে।

এর স্থায়িত্ব নির্ভর করে প্লেটের অবস্থান ও চাপের পরিমাণের উপর। তবে এর স্থিতিকাল কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে।

আর এ সমস্ত কারণেই ছোট কম্পনগুলো অনেক সময় বড় চাপের পূর্বাভাস দেয়। এতে করে দেখা যায় যে টেকটনিক প্লেটের নিচে জমছে থাকা চাপ মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেলে বড় ধরণের ভূমিকম্পের উৎপত্তি হতে পারে।

বাংলাদেশর টেকটনিক প্লেটের অবস্থান মূলত ইন্ডিয়া ও বার্মিজ মাইক্রোপ্লেটের খুব কাছাকাছি তাই বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞগণ। তাই সার্বিকভাবে সকলের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *