শুক্রবার, আগস্ট ২২

টাইগার চিংড়ি যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে

|| নিউজ ডেস্ক ||

সামুদ্রিক টাইগার চিংড়ি শিকারে দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। উপকূল থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার টাইগার চিংড়ি রফতানি হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ফলে এ চিংড়ি শিকার, বাছাই ও প্রক্রিয়াজাতের কাজ করে কর্মসংস্থান হয়েছে উপকূলের লক্ষাধিক নারী ও পুরুষের। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এ চিংড়ি আহরণের প্রধান মৌসুম। এ সময় চিংড়ি শিকারের ধুম পড়ে রাঙ্গাবালীসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে।

বঙ্গোপসাগর থেকে শিকার করা এ চিংড়ির চাহিদা রয়েছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। তাই ভালো দাম পাওয়ায় চিংড়ি শিকার থেকে শুরু করে বাছাই ও প্রক্রিয়াজাত করে কর্মসংস্থান হয়েছে উপকূলীয় অর্ধলাখ নারী ও পুরুষের।

বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী উপজেলার দূর্গম দ্বীপ চরমোন্তাজের তথ্যসূত্র বলছে, বঙ্গোপসাগর থেকে টাইগার চিংড়ি শিকার করে ঘাটে নিয়ে আসছেন জেলেরা। এরপরই সেখানে নারী-পুরুষের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যায়। কেউ ফিশিংবোট থেকে মাছ নামান। কেউ অন্যান্য মাছের মধ্য থেকে টাইগার চিংড়ি বাছাই করে বের করছেন। কেউ বা আবার টাইগার চিংড়ির মাথা কেটে আলাদা করে রফতানির উপযোগী করছেন।

ব্যবসায়ীরা জানায়, দেশের বাজারে এ চিংড়ির তেমন চাহিদা না থাকলেও ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। ফলে রাঙ্গাবালী থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার টাইগার চিংড়ি বিদেশে রফতানি করা হয়।

এ কাজে কর্মরত এক৭ন মহিলা-কর্মী বলেন, ‘টাইগার চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতে উপকূলের হাজার হাজার নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের কর্মসংস্থান হওয়ায় আমাদের সংসারেই সচ্ছলতা ফিরেছে।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, বিদেশে রফতানিযোগ্য চিংড়ি শিল্পের প্রসারে জেলেদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মহিলা-কর্মী ও আরদ দারসহ যারা এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত তাদেরকে মানসম্মতভাবে টাইগার চিংড়ি সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, রাঙ্গাবালীর, চরমোন্তাজ ও মৌডুবীর সমুদ্র থেকে টাইগার চিংড়ি সংগ্রহ করেন। এরপর সমুদ্র লাগোয়া বিভিন্ন পয়েন্টে টাইগার চিংড়ি বিদেশে রফতানির জন্য প্রতিক্রয়াজাত করা হয়। এখান থেকে পাইকারদাররা কিনে নিয়ে যান খুলনায়। সেখান থেকে রফতানিকারক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশে রফতানি করা হয়। আর এ চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতের সাথে সংযুক্ত রয়েছে উপকূলের লক্ষাধিক মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *