সোমবার, আগস্ট ২৫

জুলাই অভ্যুত্থানে খুবির অনলাইন প্ল্যাটফরমগুলো জোরালো ভূমিকা রেখেছে : উপাচার্য

|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্মসমূহের উদ্যোগে ‘জুলাই জাগরণ: আমরাই মিডিয়া’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।

উপাচার্য বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা দেখেছি কীভাবে তরুণ সমাজ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। জুলাই আন্দোলনের সময় মূলধারার গণমাধ্যম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলেও, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং দেশব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জোরালো ভূমিকা রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো সবসময় ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে- যা ইতিবাচক। তবে এগুলোর মাধ্যমে কাউকে হেয়প্রতিপন্ন না করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়।

অনুুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাষ্ট্র গঠনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে একতা হারালে জনসম্পৃক্ততা হারিয়ে যাবে। তাই গুজব, চরিত্র হনন ও মব সৃষ্টির মতো ঘটনার বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন থটস বিহাইন্ড দ্য কেইউ’র প্রতিনিধি মাহফুজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেইউ ইনসাইডার্স’র প্রতিনিধি আল মামুন। জুলাই আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্লাটফরমসমূহের ভূমিকা তুলে ধরেন জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আল শাহরিয়ার, সাঈফ নেওয়াজ ও মো. মুহিব্বুল্লাহ। আরও বক্তব্য রাখেন থটস বিহাইন্ড দ্য কেইউ’র প্রতিনিধি কাজী রিফাত মোর্শেদ, কেইউ ইনসাইডার্স’র প্রতিনিধি জোহরা বনানী ও কেইউ টকিস’র প্রতিনিধি তাইয়েবা জামান নৈঋতা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফারজানা জাহান ও তৌকির জামান শুভ।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা স্কুলের আয়োজনে ‘২৪-এর রঙে গ্রাফিতি’ শীর্ষক শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে দুপুরে বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিশুদের রঙ-তুলির আচড়ে উঠে এসেছে জুলাই অভ্যুত্থানের চিত্র। এটি তাদের স্মৃতিতে থাকবে এবং তারা দেশকে নতুনভাবে চিনবে। তিনি অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চারুকলা স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিম ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক শাপলা সিংহ।

এ সময় চারুকলা স্কুলভুক্ত ডিসিপ্লিনসমূহের শিক্ষক, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *