|| মু. হাসান জামান | রংপুর ||
তাবলীগ জামাতের এক তরুণ আলেম মুফতি মু’আয বিন নূর, জুবায়েরপন্থীদের করা মিথ্যা মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাদপন্থীরা। তার গ্রেফতারটি তাবলীগ জামাতের সাথীদের ভিতর চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। মুফতি মু’আযের সমর্থকরা অভিযোগ করছেন যে, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং রাজনৈতিক কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিথ্যুকদের মুখোশ উন্মোচিত করাই ছিল তার সবচেয়ে বড় অপরাধ।
মুফতি মু’আযের মুক্তির জন্য তাবলীগের সহিংস না হয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশাপাশি তার সমর্থকরা নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন। তারা বলছেন, এটি শুধু মুফতি মু’আযের বিরুদ্ধে নয়, বরং তাবলীগ জামাতের একজন আলেমের প্রতি আক্রমণ এবং ইসলামী সমাজের জন্য ক্ষতিকর একটি পদক্ষেপ। সমর্থকদের দাবি, মুফতি মু’আয বিন নূর একজন সৎ ও মেধাবী আলেম এবং তার বিরুদ্ধে মামলা কোনভাবেই ন্যায্য নয়।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, মুফতি মু’আযের সমর্থকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, যদি তার নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হয়, তারা দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করবে। তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও করারও হুমকি দিয়েছেন, যাতে সরকারের প্রতি তাদের দাবির গুরুত্ব বোঝানো যায়।
তবে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত মুফতি মু’আযের মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, তাবলীগের সাধারণ সদস্যরা এবং আলেম সমাজের বেশিরভাগই মুফতি মু’আযের পক্ষে কথা বলছেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলিকে ষড়যন্ত্রমূলক হিসেবে দেখছেন। এই ঘটনার পর তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে এবং আগামী দিনগুলিতে তার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রভাব আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তার সমর্থকেরা।