প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সারা পৃথিবীতে প্রশংসা ও সুনাম অর্জন করছে বাংলাদেশ।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সেনা সদস্যরা শান্তিরক্ষা মিশনে গৌরবের সঙ্গে কাজ করছে।”
বুধবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের সংর্বধনা ও স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বে সংঘাত প্রতিরোধ, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান, বিশ্ব শান্তি রক্ষায় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে শান্তিরক্ষী বাহিনী।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা যেকোনো চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা হচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “যুদ্ধ মানবজাতির জন্য কী কল্যাণ বয়ে আনছে?”
যুদ্ধ বন্ধ করে অস্ত্র তৈরি ও প্রতিযোগিতার টাকা জলবায়ুর অভিঘাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে, ক্ষুধার্তের আহার ও শিশুশিক্ষায় কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “নারীর অধিকার ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের পদক্ষেপ ‘উইমেন স্পিচ অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাজেন্ডা’ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে। বাংলাদেশের ৩ হাজার ৩৮ জন নারী সফলতার সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তি মিশন সম্পন্ন করেছেন। এখন দাবি আসছে, আরও নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করার। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল নিজেই আমাকে বলেছেন, আমরা যেন আরও বেশি করে নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করি।”
সরকারপ্রধান বলেন, “শান্তিরক্ষা মিশনগুলো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এখন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সেজন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বে শান্তি রক্ষা করা আগের চেয়ে কঠিন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। প্রযুক্তি প্রসার হওয়ার নতুন করে আরও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষীদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।”