|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
চার দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে তিনি বাংলাদেশে আসেন। দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ে বাংলাদেশে এটি প্রথম সরকারি সফর।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রামোস হোর্তার সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেন, এই সরকারি সফরে রামোস হোর্তা বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির মুখ্য উপদেষ্টাসহ সরকারি কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
স্বাধীনতা লাভের পরপর ২০০২ সালের ৭ জুন বাংলাদেশ পূর্ব তিমুরকে স্বীকৃতি প্রদান করে, যার মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দেশটির স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশটির জনগণ আজও বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলে পররাষ্ট্র সচিব জানান।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রপতির এই সরকারি সফরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেসব বিষয়ে চুক্তি হতে পারে সেগুলো হচ্ছে— (ক) অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি এবং (খ) দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক। এই সফরকালে বাংলাদেশে পূর্ব তিমুরে অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়েও ঘোষণা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।