
|| ডাঃ আনোয়ার সাদাত ||
খবরে প্রকাশ জুলাই অভ্যুত্থানের পরে ঘুষের রেট পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। অথচ ঘুষ বৈষম্য ও দুর্নীতি সৃষ্টির বড় হাতিয়ার। ঘুষ সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ঘটায় এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। ন্যায়বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করে। ঘুষ দেওয়া বা নেওয়া দুটোই বেআইনি এবং এটি বড় ধরনের একটি দুর্নীতি হিসেবে গণ্য।
ঘুষ হলো দুর্নীতি ও অনৈতিকতার একটি রূপ, যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। ঘুষের প্রতি নিন্দা এবং তা আদান-প্রদানকারীর ওপর রাসুল (সা:) অভিসম্পাত করেছেন। হাদীসে এসেছে- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা:) বর্ণনা করেন, রাসুল (স:) ঘুষদাতা এবং গ্রহীতার উপর অভিসম্পাত করেছেন। (মুসনাদে আহমদ)।
রাসুল (সা:) আরো বলেন, ঘুষ আদান-প্রদানকারী উভয়ে জাহান্নামে যাবে। (তাবরানি)।
ঘুষ-দুর্নীতি বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা। ইহা আমাদের জাতীয় উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে প্রধান অন্তরায় এবং মানুষকে শোষণের হাতিয়ার। যে কোনো জাতির নৈতিক মূল্যবোধ লালন ও এর বিকাশ সাধন খুবই জরুরী। নৈতিক মুল্যবোধ না থাকলে মানবজাতির ইহকালীন উন্নতি ও পরকালীন মুক্তি সম্ভব নয়।
লেখক: ইসলামিক স্কলার ও গবেষক এবং আলোকিত দৈনিক-এর নিজস্ব প্রতিবেদক (খুলনা)।