|| নিউজ ডেস্ক ||
যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম এ রিমান্ড আবেদন করেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ব্যারিস্টার সুমনকে সকালে আদালতে নেওয়া হয়।
জানা যায়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই হৃদয় জুম্মার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বরে এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন তিনি। মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ব্যারিস্টার সুমন।
ব্যারিস্টার সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত মুখ এবং আলোচিত আইনজীবী। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন।
গত জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তিনি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং সরকারের পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দেন।
সোমবার রাত দেড়টার দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে রাত ১টা ২১ মিনিটে তিনি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সুমন লিখেন, ‘আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।’
একটি ভিডিও বার্তাও দেন ব্যারিস্টার সুমন। সেখানে তিনি বলেন, প্রথমেই জানাতে চাই আমি দেশেই রয়েছি। ঢাকা শহরেই আছি। ৫ আগস্টের পর আমি কোথাও যায়নি। শুধুমাত্র নিরাপত্তার কারণে আমি গোপনে ছিলাম।
সুমন বলেন, ৫ আগস্টের পর অনেকেই আমাকে বলেছেন যে, তুমি বিদেশে চলে যাও। কিন্তু আমি যাইনি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, আমি কোনো দিন দুর্নীতি করিনি। ঢাকা শহরে আমার কোনো প্লট ও ফ্ল্যাট নেই। তারপরও কেন আমি দেশ ছেড়ে যাব।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার নামে যদি কোনো মামলা হয়ে থাকে তাহলে তা আইনের মাধ্যমে মোকাবিলা করব। যেহেতু আমি আইনজীবী, আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে।