
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
আগামীকাল ২৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) পালিত হতে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। গৌরবময় শিক্ষা কার্যক্রমের ৩৪ বছর সম্পন্ন করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পা রাখছে ৩৫তম বর্ষে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ পথচলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠেছে স্বপ্ন, সম্ভাবনা ও আধুনিক জ্ঞানচর্চার এক আলোকিত কেন্দ্র। শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণার উৎকর্ষ ও আন্তর্জাতিক সংযোগের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতিতে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থান-পরবর্তী সংকটময় সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। দায়িত্ব নেয়ার পরপরই তিনি একাডেমিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, গবেষণায় গতিশীলতা সৃষ্টি এবং প্রশাসনকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রথমবারের মতো সব ডিসিপ্লিনে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য অ্যাক্রেডিটেশনের আবেদন, স্নাতক পর্যায়ে গবেষণা অনুদান প্রবর্তন, আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রকাশে আর্থিক প্রণোদনা এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে প্রথম কোলাবরেটিভ রিসার্চ গ্রান্ট চালু—এসব উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা সংযোজন করেছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস–২০২৫ উপলক্ষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও খুলনার সর্বস্তরের মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। এক বার্তায় তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন আমাদের সবার গৌরব। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং খুলনার মানুষের ভালোবাসা ও সহযোগিতাই এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মূল শক্তি। তিনি আরও বলেন, উদ্ভাবন, মানবিকতা, সৃজনশীলতা ও দায়িত্ববোধকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, বেলা ১১টায় সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে মূল অনুষ্ঠান ও কৃতিত্ব অর্জনকারীদের সম্মাননা প্রদান, অদম্য বাংলা প্লাজায় ডিসিপ্লিনসমূহের অর্জন ও পরিকল্পনার প্রদর্শনী, বাদ যোহর দোয়া ও মন্দিরে প্রার্থনা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক, সড়ক, ভবন, হল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো সজ্জিত করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায়।
