
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া বলেছেন, বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইলী মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে গাজা সিটি পূর্ণাঙ্গ দখলের সিদ্ধান্ত মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ইসরাঈলের চরম স্বেচ্ছাচারিতা ও দখলদারিত্বমূলক এই সিদ্ধান্তের ফলে ইসরাঈল ও গাজার যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে। এবং গাজায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সকল দরজা বন্ধ করে দিবে। ইসরাঈল একটি অবৈধ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তারা কোনভাবেই গাজার স্থায়ী বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করে গাজা দখল নিতে পারে না । মধ্যপ্রাচ্যের সকল অশান্তির কারণ এই সন্ত্রাসী ও আগ্ৰাসী ইসরাঈল। তারা ২৫ লক্ষ গাজাবাসীর আবাসস্থলকে ইতিমধ্যেই ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রায় ৭০ হাজার গাজাবাসীকে হত্যা করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে আহত ও পঙ্গুত্বের জীবনে পাঠিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে গাজা পূর্ণাঙ্গ দখলের সিদ্ধান্ত সত্যিই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। যা জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। ইসরাঈলের এই সিদ্ধান্ত চরম হটকারী ও সন্ত্রাসী দখলদারিত্বের শামিল। ইসরাঈল এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তি আরো বেড়ে যাবে এবং বিশ্ব শান্তি বিঘ্নিত হবে। বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো সময়ের অপরিহার্য দাবী।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বাদ জুমআ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী পল্টন মোড়ের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা বলেন। ইসরাইল কর্তৃক গাজা পূর্ণ দখলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবিতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব মোস্তফা বশীরুল হাসান। বিক্ষোভ মিছিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ রুহুল আমীন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমেদ, ঢাকা মহানগরীর নায়েবে আমীর মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায় আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ কাইয়ুম হোসেন, ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবু বকর সিদ্দিকসহ প্রমূখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, গাজায় মানবতা চরমভাবে লঙ্ঘিত হলেও জাতিসংঘ সেখানে মানবতার পক্ষে কোন ভূমিকা রাখছে না। উল্টো অসৎ উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ বাংলাদেশে তার মানবাধিকার অফিস খোলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে অশান্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। সরকার তার অনুমোদনও দিয়েছে। তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারের অফিস বন্ধ করতে হবে।