
|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||
যুদ্ধ থামলেও আতঙ্ক কাটেনি গাজাবাসীর মনে। দুই বছর আগের গোছানোশহর গাজা এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। নেই বসবাসযোগ্য বাড়ি, বাচ্চাদের স্কুল কিংবা হাসপাতাল এ ছাড়া ২০ হাজার বোমা অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাই নিরাপদে চলাচলও করতে পারছেন না ফিলিস্তিনিরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৫ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরো গাজা উপত্যকায় এখন ৬৫ থেকে ৭০ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। এগুলো মূলত হাজার হাজার বাড়ি, সরকারি ভবন, হাসপাতাল ও অবকাঠামো ধ্বংসের ফল। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ভয়াবহ ধ্বংসাবশেষ গাজাকে পরিণত করেছে এক বিশাল পরিবেশগত ও স্থাপত্যিক বিপর্যয় এলাকায়, যা মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও উদ্ধারকাজ কঠিন করে তুলেছে।
তবে ধ্বংসাবশেষ সরানোর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে প্রশাসন। কারণ ইসরায়েল এখনো ভারী যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। সব সীমান্তও বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে, গাজাজুড়ে প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যেগুলো ইসরায়েলি বাহিনী ফেলে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্ত্রগুলো যেকোনো সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, তাই সেগুলো অপসারণের আগে বিশেষ নিরাপত্তা ও কারিগরি প্রস্তুতি দরকার।