গাজার খান ইউনিসের নুসেইরাত শরণার্থী শিবির এবং রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে। আল জাজিরার এবং ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তারা নাসের হাসপাতালের কমপ্লেক্সে গণকবর থেকে শত শত মরদেহ উদ্ধার করেছেন। অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করা মরদেহর মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে।
হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওই শহরে ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। অসহায় এসব মানুষ এখন কোথায় যাবে তা তাদের জানা নেই।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৩৫৬ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৩৬৮ জন।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ চলেছে। ক্রমেই শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ জোরালো ও সহিংস হয়ে উঠছে। গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ মার্কিন প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করছে।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ চলাকালে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শত শত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার শীর্ষ স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া (ইউএসসি) শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমনে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থেকে চলে যেতে বাধ্য করতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।