
|| শেখ শাহরিয়া | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
মেয়াদ বাড়ছে, প্রতিশ্রুতি বাড়ছে—কিন্তু গল্লামারী জোড়া ব্রিজের কাজে যেন থমকে আছে সময়। খুলনার প্রধান প্রবেশমুখ গল্লামারীর ময়ূর নদীঘেঁষা এই প্রকল্পটি বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি।
কমিটি জানায়, জরাজীর্ণ পুরনো ব্রিজের বিকল্প হিসেবে স্টিল আর্চ জোড়া ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প ২০২০ সালের ১ জুলাই একনেকের অনুমোদন পায়। প্রথম মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার আগেই কাজ পিছিয়ে পড়ে। এরপর দ্বিতীয় দফায় সময় গিয়ে ঠেকে ২০২৫ সালের ৩০ মার্চে। তৃতীয়বারের মতো মেয়াদ বাড়ানোর পরও কাজের গতি আর ফেরেনি। যে ব্রিজ মে মাসেই খোলা হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এখন নীরবতা ছাড়া আর কিছু নেই।
নেতৃবৃন্দের ভাষায়—অসহায় নগরবাসী প্রতিদিন জ্যামে আটকা পড়ে, ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামে, বাড়ে দুর্ঘটনা। তাদের অভিযোগ, “গল্লামারীর মতো গুরুত্বপূর্ণ করিডোরে বছরের পর বছর কাজের অগ্রগতি না হওয়া উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার চরম ব্যর্থতা।”
তারা সতর্ক করে বলেন, “বিলম্বের দিন শেষ। এখনই প্রকল্পটি পূর্ণগতিতে এগিয়ে নিতে হবে। না হলে খুলনাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের পথে নামতে বাধ্য হবো।”
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন—
শেখ আশরাফ উজ জামান, অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, মোঃ নিজামউর রহমান লালু, মিনা আজিজুর রহমান, শাহীন জামাল পন, অধ্যাপক মোঃ আবুল বাসার, অধ্যক্ষ রেহানা আক্তার, মিজানুর রহমান বাবু, অধ্যাপক মোঃ আযম খান, মোঃ খলিলুর রহমান, মামুনুরা জাকির খুকুমনি, মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম, সরদার রবিউল ইসলাম রবি, মোল্লা মারুফ রশীদ, সৈয়দ এনামুল হাসান ডায়মন্ড, মনিরুল ইসলাম (মাস্টার), শেখ গোলাম সরোয়ার, মতলুবুর রহমান মিতুল, প্রফেসর সেলিনা বুলবুল, অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম পান্না, শেখ আব্দুস সালাম, প্রকৌশলী রফিকুল আলম সরদার, শেখ আরিফ নেওয়াজ, বিশ্বাস জাফর আহমেদ, জি এম রেজাউল ইসলাম, এস এম আকতার উদ্দিন পান্নু, প্রকৌশলী সেলিমুল আজাদ, মোঃ হায়দার আলী, মনজুর হাসান অপু, রকিব উদ্দিন ফারাজী, মোঃ শফিকুর রহমান, শিকদার আব্দুল খালেক, মোঃ ইলিয়াস মোল্লা, মোঃ আব্দুস সালাম, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, অ্যাডভোকেট মিনা মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট শেখ আবুল কাসেম, অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা, আফজাল হোসেন রাজু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু জাফর, তারিকুল ইসলাম, এইচ এম আলাউদ্দিন, মোরশেদ উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম পিয়াস প্রমুখ।
