
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭১৯ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৬০ কোটি টাকা কম। তবে অন্যান্য বছরের মতো এবারের বাজেটেও নতুন করে কোনো কর আরোপ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে কেসিসির প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার এ বাজেট ঘোষণা করেন।
বাজেট তথ্য সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে ৭১৯ কোটি ৫০ লাখ ৩৬ হাজার টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, যার অধিকাংশই দাতা সংস্থার উপর নির্ভরশীল। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৯৮১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে তা দাঁড়ায় ৬১৮ কোটি ২৫ লাখ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে উন্নয়ন বরাদ্দ কমেছে প্রায় ২৬০ কোটি টাকা।
কেসিসি এবার বাজেটে তিনটি বিভাগকে অগ্রাধিকার দিয়েছে—কনজারভেন্সি বিভাগ, ড্রেনেজ উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামত ও ড্রেনেজ উন্নয়নের দুটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রায় ১ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত এসব প্রকল্পের মধ্যে সড়ক মেরামত প্রকল্পটি গত অর্থবছরে শেষ হয়েছে। ড্রেনেজ উন্নয়ন প্রকল্পটি শেষ হচ্ছে চলতি অর্থবছরে। একইভাবে, ২০২১ সালে অনুমোদন হওয়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পও শেষ হবে এ অর্থবছরে।
বাজেট ঘোষণাকালে প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার বলেন, এটি একটি উন্নয়নমুখী বাজেট। নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, স্বাস্থ্যসেবা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে এ বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলা, নাগরিক জীবনমান উন্নয়ন, সেবা সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের নানা পরিকল্পনাও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কর্পোরেশনের নিজস্ব আয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে উন্নয়ন কাজের অর্থ আসে প্রকল্পভিত্তিক সরকারি বরাদ্দ ও দাতা সংস্থার অনুদান থেকে। ফলে নতুন প্রকল্প অনুমোদন না হলে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমে যায়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শরীফ আসিফ রহমান। এ সময় কেসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, ছাত্র প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।