
|| শেখ শাহরিয়ার | খুলনা প্রতিনিধি ||
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট সংকটের কারণে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে কিট শেষ হয়ে গেলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আজ শুক্রবার (২০ জুন) থেকে খুমেক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকালপারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক জানান, করোনা পরীক্ষার (রেপিড এন্টিজেন টেস্ট ) কিট শেষ হয়ে যাওয়ায় দুপুর ১টার পর থেকে করোনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব বিকল থাকায় সেখানে পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। একমাত্র আরটি পিসিআর মেশিনটি সচল করা সম্ভব হয়নি। মেশিনটি সচল করার জন্য গত ১৪ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পত্র দেওয়া হয়। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চাহিদা পূরণ হয়নি, জরুরিভাবে কিট চেয়ে কয়েক দফা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিট পাওয়া মাত্র পুনরায় পরীক্ষা শুরু হবে। আপাতত উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে মো. হারুন নামের এক রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিবেন। হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সুমাইয়া আক্তার সুস্থ হওয়ায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে করুনা বেগম নামের একজন ভর্তি আছেন। এছাড়া খুলনায় মোট আক্রান্ত চারজনের মধ্যে দু’জন খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এদিকে, হাসপাতালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খুলনায় এ পর্যন্ত যে চারজনের করোনা শনাক্ত হয়, তার মধ্যে তিনজনই নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রার এবং অপরজন নগরীর নিরালার বাসিন্দা।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বিগত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুর জেলায় একজন করে মোট তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, খুলনা বিভাগে বিগত ২৪ ঘন্টায় ২৫জনের রেপিড এন্টিজেন পরীক্ষার পর তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। সে অনুযায়ী বিভাগে ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার ১২ শতাংশ।