
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
প্রায় পনের মাস পর খুলনা জেলা পরিষদ থেকে গায়েব হওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি নথি উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. সহিদুল ইসলাম খুলনা সদর থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় খুলনা জেলা পরিষদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েব হয়ে যায়। এ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ৯ আগস্ট জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খুলনা সদর থানায় একটি জিডি করেন এবং ১৭ আগস্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম. মাহাবুবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী চাকরির কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ২০০ থেকে ২৫০ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান ফটক ভেঙে প্রবেশ করে হামলা চালায়। হামলাকারীরা অফিসের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৬২০ টাকার মালামাল পুড়িয়ে ফেলে এবং ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার ৩৬০ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ সময় জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ নথি, চেকবই, ক্যাশবই, ভাউচার বই, জমি ইজারা রেজিস্টার, অডিট রেজিস্টার, খেয়াঘাট রেজিস্টার, ব্যাংক হিসাবের তথ্যসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফাইল গায়েব হয়ে যায়।
সূত্র জানায়, ওই ঘটনার পর জেলা পরিষদের মোট ২৮৪টি নথি উদ্ধার হলেও গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি ফাইল দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস.এম. মাহাবুবুর রহমানের কক্ষ থেকে ওই ছয়টি নথি উদ্ধার করা হয়।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ফাইলগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত এডিপি ও রাজস্ব তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য। এসব তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ২১ এপ্রিল অনুসন্ধানের জন্য চেয়েছিল।
খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার জানান, “এর আগেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছিল। সোমবার আরও ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পাওয়া গেছে।”
