
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
দীর্ঘ প্রবাসজীবনের অবসান ঘটিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে ঘিরে সারাদেশের মতো খুলনাতেও তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক আলোচনা। চায়ের দোকান, খেলার মাঠ, বাজারের সেলুন থেকে শুরু করে মসজিদের বারান্দা—সবখানেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তারেক রহমান ও বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতি।
নগরীর বিভিন্ন এলাকার চায়ের দোকানে বসে সাধারণ মানুষ তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে দেখছেন বিএনপির রাজনীতিতে নতুন গতি সঞ্চারের ইঙ্গিত হিসেবে। অনেকেই বলছেন, তারেক রহমানের সরাসরি নেতৃত্ব মাঠের রাজনীতিতে বিএনপিকে আরও সক্রিয় ও সংগঠিত করবে। বিশেষ করে তরুণ ও প্রথম ভোটারদের মাঝে বিএনপি নতুন করে আস্থা ফিরে পেতে পারে বলে মত তাদের।
খেলার মাঠে আড্ডা দেওয়া তরুণদের আলোচনাতেও উঠে আসছে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম, নির্বাচনী রাজনীতি এবং আগামী দিনের কৌশল। কেউ কেউ বলছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির জন্য একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’, আবার কেউ বিষয়টি দেখছেন চলমান রাজনৈতিক সমীকরণের বড় পরিবর্তন হিসেবে।
বাজারের সেলুনে চুল কাটতে কাটতে রাজনৈতিক বিশ্লেষণেও তারেক রহমানের নাম এখন নিয়মিত আলোচনায়। সেলুনের কর্মী ও খদ্দেররা বলছেন, দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই একধরনের স্থবিরতা ছিল, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সেই স্থবিরতা কাটতে পারে।
এমনকি নামাজ শেষে মসজিদের বারান্দায় বসেও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আলোচনা করছেন দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নির্বাচন ও বিএনপির ভূমিকা নিয়ে। অনেকের মতে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র ফেরাতে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যকর ভূমিকা জরুরি, আর সেই জায়গায় বিএনপি কীভাবে এগোবে—সেদিকেই এখন সবার দৃষ্টি।
সব মিলিয়ে বলা যায়, তারেক রহমানের দেশে ফেরা শুধু বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়; এটি দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক অঙ্গনেও নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে একটাই প্রশ্ন—এই প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে? দেশের মানুষ কি এখন নিরাপদ জীবন-যাপন করতে পারবে না কি আরো বিপন্ন হবে?
