বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৬

খুলনার নিরালায় গুলি: পলাশ বাহিনীর অন্তর্দ্বন্দ্বে হামলার টার্গেট ছিল ‘জনি’

|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||

খুলনার নিরালা তালুকদার কমপ্লেক্সের সামনে সন্ত্রাসী হামলার মূল লক্ষ্য ছিল জনি নামের এক যুবক। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার রাতে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে মনির ও হানিফ নামে দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জনি খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘পলাশ বাহিনী’র সক্রিয় সদস্য। তাকে না পেয়ে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে গুলি চালায়। আহতদের মধ্যে মনির স্থানীয়ভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই রাতেই পুলিশ রূপসা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ভাড়াটিয়া গনি হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার, আইচগাতি ইউনিয়নের সিদ্দিক ব্যাপারীর ছেলে শামীম এবং বারাকপুর মোড়ের শেখ শাহিনের ছেলে শেখ শাহারুখ আহমেদ শান্তকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, তাদের কাছ থেকে দুটি মোটরসাইকেল, দুটি তাজা গুলি ও একটি বিস্ফোরিত গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার আগে বিকেলে ১১টি মোটরসাইকেলে ২০–২৫ জন সন্ত্রাসী বিআইডব্লিউটিএ খেয়াঘাট পার হয়ে নগরীতে প্রবেশ করে। সন্ধ্যায় তারা নিরালা ১৯ নম্বর রোডের পলাশ পরিচালিত মাদক আখড়ায় গিয়ে জনিকে খুঁজে না পেয়ে গুলি চালায়।

সূত্রটি আরও জানায়, গুলির পর হামলাকারীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে খুলনা ত্যাগের চেষ্টা করে। এর মধ্যে একদলকে ধাওয়া দিয়ে হরিণটানা থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত অভিযান চালাই। হরিণটানা থানা পুলিশের সহযোগিতায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা যাচাই করা হচ্ছে।”

পুলিশের একাধিক সূত্রের মতে, খুলনার দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী—‘পলাশ’ ও ‘গ্রেনেড বাবু’র মধ্যে চলমান অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকেই এই সন্ত্রাসী হামলার সূত্রপাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *