
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
খুলনার মুজগুন্নী পেটকা বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈশানকে ধারালো ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পরও মূল অভিযুক্ত জিসানকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেয়ার ক্লিনিকের সামনে হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে ঈশান মারা যায়।
খালিশপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী জানান, মুজগুন্নী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মুরাদের ছেলে জিসান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার বাড়িতে অভিযান চালানো হলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। নিহতের বাবা সহিদুজ্জামান বাচ্চু বাদী হয়ে রাতে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে ঈশানের মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয় এবং আসরের নামাজের পর জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। একই ঘটনায় আহত রাজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও এখনো কোনো তথ্য পুলিশকে জানায়নি।
পুলিশের এক সূত্র জানায়, প্রায় ১০–১২ দিন আগে খালিশপুর গোয়ালখালী কবরস্থানের পাশে অনুষ্ঠিত এক ওয়াজ মাহফিলে বসাকে কেন্দ্র করে কিশোরদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও সিনিয়রদের মধ্যে ক্ষোভ থেকে যায়। সেই ঘটনার জের ধরেই বৃহস্পতিবার ঈশান ও রাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
নিহত ঈশান মুজগুন্নীর বাসিন্দা এবং মাছ ব্যবসায়ী সহিদুজ্জামান বাচ্চুর ছেলে।
