
|| ডা. আনোয়ার সাদাত ||
জুলাই অভ্যুত্থানের পর ইনকিলাব মঞ্চ নামে একটি রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্লাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন জুলাই সম্মুখ সারীর যোদ্ধা শরীফ ওসমান বিন হাদি।
আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইনকিলাব মঞ্চ রাজপথ, ক্যাম্পাস ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে।
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র–জনতার অংশগ্রহনে ওসমান বিন হাদীর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির লক্ষ্য হলো—সব ধরনের আধিপত্যবাদ ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা।
পুরোনো ধারার রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠে নতুন ধারার রাজনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে জনকল্যাণকর দেশপ্রেমভিত্তিক রাজনীতির প্রচেষ্টা চালান।
তিনি প্রচলিত রাজনীতির ধারার বাইরে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি মতবিনিময়, ‘চা–সিঙ্গারা’ আড্ডা এবং পথসভা আয়োজনের ঘোষণা দেন। তার এই ভিন্নধর্মী প্রচারণা গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
স্বল্প সময়ের রাজনৈতিক জীবনে ওসমান বিন হাদী তরুণদের মধ্যে আপোষহীন ও প্রতিবাদী রাজনীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।তার মৃত্যু দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয় ভারাক্রান্ত করেছে। সামগ্রিক রাজনীতিতেও নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তরুণ নেতৃত্ব, আন্দোলনভিত্তিক রাজনীতি, পুরনো ধারার ক্ষমতাকেন্দ্রীক গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে এসে দেশপ্রেম, দূর্নীতিমুক্ত, ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ভিত্তিক রাজনীতির ধারা প্রচলনের আকাঙ্খা মানুষের মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে।
লেখক: ইসলামিক স্কলার, সাংবাদিক ও চিকিৎসক (খুলনা)।
