রবিবার, ডিসেম্বর ১৪

ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ প্রতিষ্ঠা, ধ্বংস, বর্তমান অবস্হা ও নতুন ভিত্তি স্হাপন

বাবরি মসজিদ ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত অযোধ্যার একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা। মুঘল সম্রাট বাবরের আমলে ১৫২৮ সালে এই মসজিদ নির্মিত হয়।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর হাজার হাজার করসেবকের হাতে প্রায় পাঁচশত বছরের পুরনো ঐতিহাসিক মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়। এতে ভারতের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। ৩২ বছর অতিবাহিত হলেও ঘটনাটি আজও ভারতের রাজনীতি ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে রয়েছে।

১৯৯২ সালে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছিল। সেই জমিতে রামমন্দির নির্মাণ আর তার বদলে অন্য একটি জমি মসজিদ নির্মাণের জন্য দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামমন্দিরের জন্য ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে ধন্নীপুর গ্রামে মুসলমানদের জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের ২০১৯ সালের সেই রায়ের পরেই খুব দ্রুত গতিতে যখন রামমন্দির গড়ে উঠেছে, তার উদ্বোধন ও নিয়মিত পুজোও চলছে, অন্যদিকে ধন্নীপুরে মুসলমানদের মসজিদ নির্মাণ এখনও শুরুই হয়নি।

অন্যদিকে বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা–রেজিনগর এলাকায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ–এর ন্যয় একটি মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে, প্রস্তাবিত এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবির। এ উদ্যোগকে ঘিরে নিরাপত্তা তৎপরতা জোরদার করা হয়। পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী, আরএএফ মোতায়েন করা হয়; কারণ অনুষ্ঠানটি ছিল ধর্ম এবং রাজনৈতিক সংবেদনশীল।

বিধায়ক হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, মসজিদের পাশাপাশি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ, হোটেল তথা রেস্টুরেন্ট, পার্কসহ অনেক কিছুই তৈরি হবে সেখানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *