
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
খুলনায় জুলাই যোদ্ধা শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হত্যাচেষ্টা শুধু একজন ব্যক্তির ওপর আঘাত নয়, বরং দেশের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকেই লক্ষ্য করে চালানো হামলা—এমন অভিযোগ তুলেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা। বক্তারা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এ ধরনের হামলা আসন্ন ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে বানচালের একটি সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে আটটায় নগরীর বাবরি চত্বরে ছাত্রশিবিরের আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকেই হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানানো হয়। বক্তারা পরিষ্কারভাবে বলেন, জুলাই যোদ্ধারা জীবিত থাকতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না।
সমাবেশে প্রধান অতিথি সাবেক মহানগর সভাপতি ও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হত্যা–সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল করার কোনো সুযোগ নেই। তার ভাষায়, “দিল্লির তাবেদারি করে বাংলাদেশে কেউ রাজনীতি করতে পারবে না।” তিনি হাদীর ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনগত প্রক্রিয়ায় আনার দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রাকিব হাসান বলেন, হামলা শুধু ওসমান হাদীর ওপর নয়—বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনার ওপর গুলি চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এক ওসমান হাদীর বুকে গুলি চললে লক্ষ ওসমান হাদী বুক চিতিয়ে দাঁড়াবে।”
সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক ইসরাফিল হোসেন। এতে মহানগর ও থানাভিত্তিক জামায়াত–শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন—সাহিত্য, প্রচার, ছাত্রকল্যাণ, বিজ্ঞান, ক্রীড়া, সমাজসেবা, মাদরাসা ও স্কুল শাখার সম্পাদকসহ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের প্রতিনিধি ডা. সাইফুজ্জামানও অংশ নেন।
এর আগে শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার শিববাড়ি মোড়ে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
