শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

একুশে বইমেলা শুরু আগামীকাল

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪। মাসব্যাপী এ মেলা কাল বিকাল ৩টায় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবর্ষের কারণে এবারের বইমেলা হবে ২৯ দিন। এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বইমেলার সার্বিক আয়োজনের দায়িত্ব বাংলা একাডেমির।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে বইমেলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, একাডেমির পরিচালক (প্রশাসন) ও বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাসান কবির ও পরিচালক সুমীর কুমার সরকার এবং বইমেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নওবদ আলী।

আয়োজকরা জানান, বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান : ভলিউম-২’ সহ কয়েকটি গ্রন্থ-উন্মোচন করবেন। এদিন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও প্রদান করবেন তিনি।

বইয়ের এ উৎসবে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট আয়তনের মাঠে ৬৩৫ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠান ১৭৩ ইউনিট এবং সোহরওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫ প্রতিষ্ঠান ৭৬৪ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

গত বছরের মতো রমনা কালী মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে শিশুচত্বর। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং থাকছে সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন।

এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ও পুনর্মুদ্রিত ১০০ বই। বইমেলায় অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন এবং শিশুকিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য ১টি স্টল থাকবে।

বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিরাপত্তার জন্য মেলায় তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা রয়েছে।

বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *