শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭

একদিনে দুটি করে মামলায় খালাস পেলেন খালেদা-তারেক

|| নিউজ ডেস্ক ||

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একদিনে দুটি করে মামলায় খালাস পেয়েছেন। এর মধ্যে খালেদা জিয়া খালাস পেয়েছেন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায়। আর তারেক রহমান একটি কর ফাঁকির মামলায় এবং আরেকটি চাঁদাবাজির মামলায় খালাস পেয়েছেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) পৃথক পৃথক আদালত বিএনপির শীর্ষ দুই নেতাকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খালাস দেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এই মামলায় খালাস পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন-প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এর আগে দুর্নীতির দায়ে করা মামলাটিতে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. আবু তাহের। অপর দুইজন হলেন- সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এর আগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে হওয়া ২৬ লাখ টাকার কর ফাঁকির মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।

২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

এছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আটজন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অভিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ।

অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

এর আগে ৫ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখায় তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *