সোমবার, নভেম্বর ৩

এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিপর্যয় ও জাতির ভবিষ্যত

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার ফল বিপর্যয় ঘটেছে। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ বছর ফেল করেছেন ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন, যা গত বছরের চেয়ে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন কম।
দেশের ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেননি। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পাসের হার শূন্য। গত বছর শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬৫টি। আবার শতভাগ পাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও কমেছে এক হাজার ৪৩টি। সার্বিক দিক বিবেচনায় এবার ভয়াবহ ফল বিপর্যয় ঘটেছে।
আমরা শতকরা পাশ ফেলের হিসাব নিকাশ করেই ক্ষ্যন্ত। অথচ শিক্ষার্থীর এ অবস্হার সাথে জড়িয়ে রয়েছে একটা পরিবার, একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের ভবিষ্যত।

বিশ্লষকদের মতে, শিক্ষার মান যে অবনতি হয়েছে, অতিরঞ্জিত যে ফলাফল বিগত বছরগুলোতে দেখানো হয়েছিল, তাতে জাতির ক্ষতি হয়ে গেছে। সেখান থেকে ফিরে আসতে হবে।

এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছরে এখনো স্হায়ী ও মানসম্পন্ন একটি শিক্ষাব্যবস্হা গড়ে উঠেনি। এখনো পরীক্ষা নিরিক্ষা অব্যহত রয়েছে। স্হায়ী, টেকসই, আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মত, নৈতিক চরিত্র উন্নয়নমূলক শিক্ষা কারিকুলাম প্রনয়ণ করা উচিৎ। শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার বার পরীক্ষা নিরিক্ষা আর নয়।পরীক্ষার সিলেবাস, প্রশ্নপত্র, নম্বর দেওয়ার ধরন, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠদানের ধরন সবকিছু উন্নত ও স্বাভাবিক ধারায় আনতে হবে। শিক্ষা নিয়ে নোংরা বাণিজ্য বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত জীবন উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া জনগনের একান্ত দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *