-খাজা ওসমান ফারুকী (খাজা’জী)
পবিত্র ঈদুল ফিতর ধর্মীয় বিধিবিধানের মাধ্যমে ধনী-গরিব সর্বস্তরের মানুষকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস নেয় এবং পরস্পরের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের শিক্ষা দেয়।
পবিত্র ঈদের দিনে আমাদের অন্তরগুলো মুক্তি পাক তাদের নিত্য ঘেন্নাচক্র থেকে, অস্থিরতা থেকে।
চোখের দেখা জগতের বাইরে আরেকটা জগত আছে
সেই বিশ্বাস ও উপলব্ধি জাগ্রত হোক। আত্মার হোক উদ্বোধন…
প্রতিটি প্রাণে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক, প্রতিটি মানব জেগে উঠুক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে শুধু ঈদের দিনই নয়, এই বন্ধন জাগ্রত হোক প্রতিটি দিন আর তা শুরু হোক ঈদ দিয়েই।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষের জন্য আমাদের কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা, জগতের সব মানুষের সুখ-শান্তি, কল্যাণ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি।
আগামী দিনগুলো সত্য, সুন্দর ও সৌন্দর্যমণ্ডিত হোক! হাসি-খুশি ও ঈদের অনাবিল আনন্দে প্রতিটি মানুষের জীবন পূর্ণতায় ভরে উঠুক!
ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ পরিব্যাপ্তি লাভ করুক—এটাই হোক ঈদ উৎসবের ঐকান্তিক কামনা।
আসুন, ঈদের নির্মল আনন্দ ছড়িয়ে দিই সবার মনে-প্রাণে; বুকে বুক মিলিয়েই চলুন সবাই সবার হয়ে বলে যাই, ‘ঈদ মোবারক আস্-সালাম।’
লেখক: চেয়ারম্যান, সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশন, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।