মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯

ঈদ উপলক্ষে রায়গঞ্জে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ শুরু

|| সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ||

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ শুরু হয়েছে। এতে অনেক বেকার নারী-পুরুষেরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সারা বছরই এই ব্যবস্থা চালু থাকলেও কোরবানিকে সামনে রেখে রায়গঞ্জে গবাদি খামারীরা এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজাকরণে।

ঈদে বেশি লাভের আশায় গ্রামের অনেকেই গবাদিপশু পালন করে অতিরিক্ত টাকা আয় করে থাকেন। উপজেলার ১ টি পৌরসভা ও ৯ টি ইউনিয়নেই কমবেশি গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ ছোট-বড় খামার রয়েছে। স্থায়ী খামারী ছাড়াও মৌসুমী খামারীরাও লাভের আশায় এ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বাড়তি আয়ের জন্য পশু লালন-পালন করছেন। দেশি জাতের পাশাপাশি ভারতীয় ও নেপালী জাতের গরু পালন করছেন খামারীরা।

রায়গঞ্জ পৌরসভার বেতুয়া মহল্লার খামারী আব্দুল অহেদ জানান, তিনি এ বছরই খামার করেছেন। ৮ টি গরু দিয়ে খামার শুরু করেছেন। আগামী ঈদে বিক্রিরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই গরুগুলো মোটাতাজা হতে শুরু করেছে। ষাঁড় গরু ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি আরও জানান, খামারের গরুগুলিকে ভূষি, ধানের কুঁড়া, ঘাষ ও খড় খাওয়ানো হয়। 

এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমির হামজা বলেন, উপজেলায় খামার ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই খামার গড়ে তুলেছেন। পশু লালন-পালন করে তারা লাভবান হচ্ছেন। পশু মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে এ উপজেলায় কোনো প্রকারের ক্ষতিকর ওষুধ বা ইনজেকশন দেয়া হয় না। তারপরও জেলা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে নিয়মিত তদারকি করা হয়। ইতিমধ্যে জেলায় কোরবানির খামার ও গবাদিপশুর তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে এবং আগামী দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই তালিকা জানা যাবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *