সোমবার, জুন ১৬

ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক: যাত্রীদের নিরাপত্তা দাবি

|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||

আর কয়েকদিন পরই ঈদুল আজহা। ঈদযাত্রায় প্রতি বছর ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে কয়েক লাখ মানুষ। এবারও এ মহাসড়ক দিয়ে ঈদে ঘরে ফিরবেন তারা। তবে ঈদযাত্রার আগে মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতির ঘটনার পাশাপাশি নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির মতো ঘটনাও ঘটছে। ফলে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মহাসড়কে নেমে আসছে আতঙ্ক। এই মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের মধ্যে এখন ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে মহাসড়কে টহল কার্যক্রমসহ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে মহাসড়কে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে লুটপাট করে। ঘটে শ্লীলতাহানির ঘটনাও। এ ঘটনার পর থেকে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে আরও আতঙ্ক বেড়ে যায়।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ২৬টি জেলার ৩০-৩৫ হাজার পরিবহন আসা-যাওয়া করে। অপরদিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়েও প্রতিদিন শত শত যাত্রীবাহী বাস যাতায়াত করে। এই মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোর সীমানা গাজীপুরের কালিয়াকৈর, ময়মনসিংহের রসুলপুর ও জামালপুরের সরিষাবাড়ী পর্যন্ত বিস্তৃত।

বাস মালিকরা বলেন, মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে গোলচত্বর পর্যন্ত এবং মির্জাপুরের পাকুল্যা থেকে টাঙ্গাইল শহরের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত ডাকাতি হচ্ছে। ফলে দুটি স্থান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।

বাস মালিকরা আরও বলেন, ডাকাতি প্রতিরোধে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার পূর্বে প্রতিটি বাসেই সবার ছবি তুলে রাখার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি। ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও ওই ভিডিও বা ছবিগুলো ডাকাত ধরার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। মালিকপক্ষ প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

যাত্রীরা বলেন, কয়দিন পর পর মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এতে করে আমাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রাতে মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করলে এক প্রকার আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। তাই, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে প্রশাসনকে মহাসড়কে আরও জোরালোভাবে দায়িত্ব পালনের দাবি জানাই, তাহলে আমরা ঈদে ভালোভাবে বাড়িতে যেতে পারবো।

বাস চালকরা বলেন, আমরা সতর্কভাবে গাড়ি চালাই। ডাকাত সদস্যরা যাত্রী বেশে বাসে ওঠে। কে ডাকাত ও সাধারণ যাত্রী তা বোঝা যায় না। মহাসড়ক ফাঁকা পেলেই ডাকাতি শুরু করা হয়। সব মিলিয়ে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ডাকাতদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হলে ডাকাতি রোধ করা সম্ভব।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, এরইমধ্যে মহাসড়কে পুলিশের টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। মহাসড়ক দিয়ে যাতে যাত্রীরা নিরাপত্তায় বাড়িতে যেতে পারে, সে বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *