শনিবার, অক্টোবর ১১

ইসলামে নেতৃত্বের অযোগ্যতা

|| ডা. আনোয়ার সাদাত ||

ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজে নেতা কেমন হবেন, কোন প্রক্রিয়ায় হবেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। একজন নেতার গুণাবলী ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, নেতৃত্বের উপর সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক কিছুই নির্ভর করে, এজন্য নেতার আবশ্যকীয় গুণাবলী তার মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে।

আমরা এখানে একজন নেতার কোন বিষয় ইসলামে নেতৃত্বের অযোগ্য হিসেবে গণ্য এ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করতে চাই। এ ব্যাপারে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, কোনো ব্যক্তি যতই যোগ্যতার অধিকারী হোক না কেন সে আপন চেষ্টায় নেতৃত্ব পদ দখল করতে পারবে না। কেননা ইসলামের দৃষ্টিতে নেতৃত্ব একটি পবিত্র আমানত।
কোনো ঈমানদার ব্যক্তি নেতৃত্ব লাভের জন্য মনে মনে আগ্রহ পোষণ কিংবা তার জন্য চেষ্টা তদবির করা ঈমানদার ব্যক্তি জন্য শোভনীয় নয়।

রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন, তোমরা হয়ত নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব পাওয়ার জন্য লালায়িত হবে, আর তাই কেয়ামতের দিন তোমাদের লজ্জার কারণ হয়ে দেখা দিবে।- মুসলিম।

মহানবী (সা.) আরো বলেন, আল্লাহর কসম আমি এ কাজে এমন কাউকে নিযুক্ত করবো না যে তার প্রার্থনা করে এবং এমন কাউকেও নয় যেটা পাওয়ার জন্য লোভ পোষণ করে।- মুসলিম শরীফ

সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, ইসলামে নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য চেষ্টা তদবির বা লালায়িত হওয়া সমীচীন নয়। এ দায়িত্ব স্বাধীন বিচার বিবেচনা ও সংখাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে কোনো যোগ্যতর ব্যক্তির উপর ন্যস্ত করাই ইসলাম সম্মত।
আর যার উপর এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পিত হবে, তাকেই নেতা হিসেবে মেনে নেওয়া ইসলামী সমাজের সকলেরই দ্বীনি কর্তব্য।

লেখক: ইসলামিক

লেখক: ইসলামিক স্কলার, সাংবাদিক ও চিকিৎসক (খুলনা)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *