ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রায় ৪০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইরান-সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠন জানিয়েছে, তারা আপার গ্যালিলি এলাকার মাউন্ট মেরন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সে সময় ইসরায়েলের সাসা, কাফার হোশেন, দোভিফ এবং সাফসুফা শহরে সাইরেন বেজে উঠেছে। খবর: এএফপি, আল জাজিরা।
হিজবুল্লাহ বলছে, তারা লেবাননের পূর্বাঞ্চলে হামলার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসী অভিযান শুরুর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে হিজবুল্লাহর সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এর আগে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েলের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। রবিবার হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা লেবানন সীমান্তের কাছে আল-মালিকিয়া এলাকার দুটি ভবনে জড়ো হওয়া ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালায়। হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা উপযুক্ত অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে এবং সরাসরি ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সীমান্তে সংঘাতে লেবাননে কমপক্ষে ২৮৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই হিজবুল্লাহর যোদ্ধা। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ৪৪ জনই বেসামরিক নাগরিক। অপরদিকে ইসরায়েলের ১০ সেনা এবং দেশটির ৬ বেসামারিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েল দাবি করে যে, সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-কুসাইর শহরে ইসরাইলের একটি ড্রোন থেকে হামলা চালানো হয়েছে এবং তাতে হিজবুল্লাহর দুই যোদ্ধা শহীদ হন। হিজবুল্লাহ তাদের দুই যোদ্ধার নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে গাজায় মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। সেখানে ইসরায়েলি তাণ্ডব আরও বাড়ছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত এবং আর তিনজন আহত হয়েছে। ফারা শরণার্থী শিবিরেও তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।