গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার মধ্যেই সেখানে দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। ইসলামপন্থী এই সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা বলেছেন, জনগণের স্বার্থে আমরা পুরোপুরি লড়াই বন্ধে রাজি আছি। তবে আমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও প্রস্তুত রয়েছি।
ওবেইদা আরও বলেন, ‘তাদের কোনো অর্জন নেই। যুদ্ধেক্ষেত্রে তারা তাদের সৈন্যই হারাচ্ছে। হামাসের ব্যাপক শক্তি রয়েছে এ কথা বলছি না, তবে আমরা আমাদের জনগণের অধিকার আদায়ে লড়াই চালিয়ে যাব।’
আবু ওবেইদা বলেন, ‘হামাস ইসরায়েলি শতাধিক যুদ্ধজানকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, ট্যাঙ্ক, সেনাবাহিনী বহনকারী যান, বুলডোজার। এছাড়া হামাস টানেলে হামলাসহ রকেট ও মটার শেলের মাধ্যমে অনেকে ইসরায়েলি সেনার প্রাণ নিয়েছে।’
এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তবে নেতানিয়াহুর গোড়ামির কারণে যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া আবার স্থবির হয়ে গেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ৩ জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ)। মরদেহগুলো গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলের এলাকা জাবালিয়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত তিনজনের নাম শনি লুক, অমিত বুসকিলা এবং ইতজাক গেলেরেন্টার। ওই তিনজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি ছিলেন।
জানা যায়, ওই তিনজন গত ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে নিহত হন। এরপর তাদের মরদেহগুলো গাজায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে আইডিএফ। সেগুলো একটি সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি স্মরণকালের ভয়বাহ হামলা চালায় হামাস। এ হামলার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দীর্ঘ ৮ মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের চালানো হামলায় প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।