“ফিলিস্তিনে জায়োনিস্ট কর্তৃক গণহত্যায় আমাদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার, (১৯ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়াস্থ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দাওয়াহ ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগে ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কর্তৃক ৪র্থ আল কুদস সপ্তাহ উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।
উল্লেখ্য, প্রতি হিজরি বর্ষের রজব মাসের শেষ সপ্তাহ আল কুদস সপ্তাহ হিসেবে পালিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবির ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফি।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ বি এম জাকির হোসাইন, প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান, প্রফেসর ড. মাসুদ আল মাহদী, প্রফেসর ড. মোঃ ইদ্রিস আলী, প্রফেসর ড. আবদুল করিম, প্রফেসর ড. সোলায়মান, প্রফেসর ড. আব্দুল করিম, প্রফেসর ড. তরিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রহিম উল্লাহ প্রমুখ।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিন ওলামা পরিষদের বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটর মোহাইমিনুল হাসান রিয়াদ, ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের হেড অফ উইমেন সেকশন আতিয়া আসে সাওবিয়া। এছাড়াও ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন ইবি শাখার সভাপতি আম্মারুল হক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওসমান বিন হাসনাইন সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও ইবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ ফিলিস্তিনে জায়োনিস্ট কর্তৃক গণহত্যায় আমাদের করণীয় সম্পর্কে নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আ ব ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফি বলেন, ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে তাহলেই মুক্তি সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলী উল্যাহ বলেন, ফিলিস্তিনের মুক্তি একমাত্র মুসলিমদের একতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমেই সম্ভব। এছাড়াও বক্তাগণ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিলেন। তিনি ইসরাইলের দেওয়া স্বীকৃতি গ্রহণ করেননি। অথচ আজ তার সরকার আমলে পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ শব্দটি বাদ দিয়েছে। এটা বঙ্গবন্ধুর নীতি বিরোধী। বক্তাগণ এর প্রতিবাদ জানান। ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য দোয়া পরিচালনার মধ্য দিয়ে সভাটি সমাপ্ত হয়।