|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্খা ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ইবিসাস) এর উদ্যোগে টিএসসিসি’র বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ সাহেদ হাসান কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. হোসাইন আল মামুন। এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসসের বিশেষ সংবাদদাতা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ সংযুক্ত এস. এম রাশিদুল ইসলামসহ সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম।
সেমিনারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এই সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছে। অনেকের মনে এই ধারণা হচ্ছে যে, এই সরকার জন আকাঙ্ক্ষার কতোটুকু বাস্তবায়ন করছে। বর্তমান সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে অনেকগুলো উন্নয়ন ঘটিয়েছে। বিশেষ কনে প্রতিমাসে অর্থনীতিতে ১৫ শতাংশের উপরে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা একটি দেশের জন্য অনেক বড় অর্জন।
তিনি আরো বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক হলের নাম ফ্যাসিস্টদের পরিবারের সদস্যদের নামে। ওই হলের নামগুলো পরিবর্তন করতে হবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, জুলাই গণঅভ্যত্থানের চেতনাকে ধারন করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। শুরতে তিনি জলাই বিপ্লবে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের সুদীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলে স্বৈরচারীতা, পংকীলতা, আত্মীয়করন, দুঃশাসনের, সবত্র লুটপাঠের রাজত্ব কায়েম করেছিলো তা রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয় কারণ একটি রাষ্ট্রযন্ত্রের কাঠামোই আমুল পরিবর্তনে কিছুটা সময় লাগে পাশাপাশি দীর্ঘ জঞ্জাল পরিস্কার করতে। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোদী ছাত্র আন্দোলন দফা এজন্য দশ দফা থেকে সরাসরি একদফায় পরিবর্তিত হয় যার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্রের উৎখাত ঘটেছিলো। তিনি আরো বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে নবেল লরিয়েটস ড. ইউনুসের মতো ভালো মানুষ ও ভালো অথনীতি বোঝার মতো ব্যক্তি খুবই কমই আছে।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, আরো বলেন, আমরা যখন আহত ও শহীদদের সর্বোপরি যারা এই অভ্যুত্থানকে সফল করেছে তাদের দিকে তাকাই, তখন আমরা স্বল্প সময়ে রাষ্ট্র সংস্কার চাই। কিন্তু রাষ্ট্র যন্ত্র স্বল্প সময়ে পরিবর্তন করা যায় না।
তিনি আরো বলেন, আমরা ১৬ বছর ধৈর্য ধারণ করেছি। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য একটু সময় দিতে পারবো না? আর এই গণঅভ্যুত্থান সফল করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। সেমিনারে বিভিন্ন্ বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ছাত্র-ছাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।