
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণসহ বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ‘ইসলামী ঐক্য আন্দোলন’।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আমীর অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মাদ এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, শিক্ষকরা হলেন জাতি গঠনের মূল ভিত্তি এবং সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। কিন্তু অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ তাঁদের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি, বিশেষ করে শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয়করণের মতো জীবনঘনিষ্ঠ দাবিতে রাজপথে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত থাকা সত্ত্বেও, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে চরম উদাসীনতা প্রদর্শন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সচিবালয় অভিমুখে শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ ‘ভুখা মিছিল’-এ পুলিশের ন্যাক্কারজনক ও বর্বরোচিত হামলা কোনো সভ্য সমাজে কাম্য নয়। পুলিশ শিক্ষকদের উপর জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করেছে, যাতে অর্ধশতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এই আক্রমণ শুধু শিক্ষকদের ওপর নয়, বরং গোটা শিক্ষাব্যবস্থা ও ইসলামী শিক্ষার মর্যাদার ওপর আঘাত।
কেন্দ্রীয় আমীর বলেন, ‘ইসলামী ঐক্য আন্দোলন’ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, শিক্ষককে সম্মান করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা। যে জাতি শিক্ষকদের সম্মান দিতে পারে না, সেই জাতি কখনো উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারে না। আন্দোলনরত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে যে মৌলিক দাবিগুলো জানাচ্ছেন, তা অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক।
অধ্যাপক এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া বলেন, আমরা শিক্ষকদের ওপর পুলিশি এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী ও নির্দেশদাতাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে কঠোর বিভাগীয় ও আইনানুগ শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও আহত শিক্ষকদের সরকারিভাবে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় আমীর আরো বলেন, কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয়করণের ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শিক্ষকদের সকল ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিতে হবে।
অধ্যাপক ভূঁইয়া বলেন, আমরা সরকারকে সতর্ক করে বলতে চাই, শিক্ষকদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে এর পরিণতি শুভ হবে না। অবিলম্বে দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষকদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। ইসলামী ঐক্য আন্দোলন এই ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে শিক্ষকদের পাশে আছে এবং থাকবে।
