আধুনিক-প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষিত-দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউই অশিক্ষার অন্ধকারে থাকবে না। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশের মানুষকে শিক্ষিত, দক্ষ, আধুনিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের শিখিয়েছে মাথা মত না করা। আমাদের যা কিছু অর্জন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই পেয়েছি। ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত। যারা একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যারা দেশের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন তাদের সবাইকে একসঙ্গে পদক দেয়া সম্ভব নয়। তবুও যতটুকু সম্ভব দেয়ার চেষ্টা করি। গুণীজনদের পুরস্কার দিতে পেরে আমরা ধন্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রক্তের অক্ষরে ভাষার অধিকারের কথা লিখে গেছে বাঙালি জাতি। জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বারবার আঘাত এসেছে, কিন্তু বাঙালি আঘাত ডিঙিয়ে তা অর্জন করেছে। ৭ মার্চের ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন-কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কেউ পারেওনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৫ আগস্টের পর বাংলা, বাঙালি সংস্কৃতি সবই যেন থমকে গিয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার ভূমিকার কথা আছে। পাকিস্তানের গোয়েন্দা রিপোর্টেও ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার ভূমিকা লেখা আছে। অনেকে বলে জাতির পিতা জেলে ছিলেন। কিন্তু জেলে ছিলেন কেন-যোগ করেন তিনি।