
|| আব্দুল হামিদ সরকার ||
জননী কহিলেন ওরে বাছাধন শুয়ে আছো কেন বাপ,
সূর্যের ডগা যে পড়েছে এসে করোনি তার মাপ?
তিমির কেটে আলো ফুটেছে ফিঙে পাখি করছে নাচ,
সারা রাতেও ঘুমযে মেটেনি করেছো যে এপাশ ওপাশ।
আলসে টুটুল হাই ছেড়ে কয় থামো হে জননী,
এক প্রহরতো ঘুমাতে বাকি জাগতে হবে তো জানি।
বিস্ময়ে জননী কহে একি বলিসরে টুটুল,
কবে যে হুস ফিরবে তোর ভেবে পাই নারে কুল।
অধিক নিদ্রায় করবে যে অসুখ কতো দিবোরে ছোবক,
আর পারিনা তোকে নিয়ে বক্ষে যে মোর ক্ষোভ।
মক্তবের বেলা যায় যে বয়ে স্মরণে কি আছে,
মওলভী সাব করবে যে নালিশ তোর বাপের কাছে?
জননীর বকায় ধুচমুচিয়ে উঠলো ভীষণ ক্রোধে,
আমপারা হাতে হয় যে আগুয়ান ধর্মীয় মূল্যবোধে।
দবির মওলভী বেত হাতে রক্তচক্ষু মেলে,
ওরে টুটুল অলস যে তুই এতো বিলম্বে কেন এলে?
ঘুমে ছিলাম তাই যে আমি জাগনা পাইনি হায়,
সঙ্গীরা সব লুটিয়ে পড়ে হাসিতে ডানে বায়।
হরফগুলো কি করেছো মনে জলদি বলো হে,
চোখ কচলিয়ে টুটুল কহে হয়নি পড়া বাহে।
কি শোনালে আলসে টুটুল টুটবে তোর খেল,
ওস্তাদজী করেন যে ক্ষমা কুপিতে ছিলো না তেল।
ডাহা মিথ্যার নাটক যে তোর নাহি তোর ক্ষমা,
মিথ্যা বলা মহাপাপ যে অলসতা একটু কমা।
লেখক: বিশিষ্ট কবি ও ঔপন্যাসিক এবং সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বেলকুচি বহুমুখী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ। রচনাকাল: ২১ জানুয়ারি, ২০২৫।