
|| কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ||
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমানকে অবশেষে দলীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নানা অভিযোগ ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনায় দীর্ঘদিন বিতর্কের পর শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আনিছুর রহমানকে আহ্বায়কের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার স্থলে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দলীয় দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আনিছুর রহমানকে ঘিরে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে তদবির ও মামলা বাণিজ্য, এক জামায়াত কর্মীকে ‘কলিজা টেনে ছিঁড়ে ফেলার’ হুমকি, কলেজের অফিস সহকারী হয়েও রাজনৈতিক প্রভাবে একটি মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতির পদ দখল এবং আদালতের আদেশ অমান্য করে একটি মাদ্রাসার অফিস সহকারীর এমপিও প্রক্রিয়া আটকে রাখার মতো অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া, এসব বিষয়ে সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তিনি ছেলেকে দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আসাদকে লাঞ্ছিত ও হুমকি দেন। এ ঘটনায় সাংবাদিক আসাদ থানায় জিডি করার পাশাপাশি জেলা বিএনপির কাছেও লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, আনিছুর রহমানের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা বাড়তে থাকায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে উত্থাপিত বেশ কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা মেলার পরই তাকে দলীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বলেন,
“দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আনিছুরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারও ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় বিএনপি বহন করবে না।