মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ৪

অনলাইনে হরতাল-অবরোধ করছে আ.লীগ: রিজভী

|| নিউজ ডেস্ক ||

জনগণের সাড়া না পেয়ে আওয়ামী লীগ অনলাইনে হরতাল-অবরোধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

আন্দোলন দমানোর জন্য অথবা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বানচালের জন্য গুলির ব্যবহার চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়ে ‍রিজভী বলেন, হাসিনা পুলিশ দিয়ে, পুলিশের শর্টগান দিয়ে গুলি করে যেভাবে মানুষকে হত্যা করেছে এদেশে যেন এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ও আইনের শাসন আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনার মতো বর্বর শাসন আর এদেশে আনা যাবে না। কিন্তু আবারও শেখ হাসিনা তার বর্বর শাসন ফিরিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের ভেতর নানা উস্কানি দিচ্ছেন, নানা ষড়যন্ত্র করছেন।

রিজভী বলেন, কোথায় আপনার যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সন্ত্রাসী বাহিনী। যারা পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে, শিশুদের হত্যা করেছে, বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, বাংলাদেশের মানুষ আর আপনাদের মেনে নেবে না। তারা আপনাদের সকল অপকর্মের বিচার চায়।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এমন সংস্কার করতে হবে আর কোনোদিন যেন কোনো রক্তচক্ষু মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে না নিতে পারে।

রিজভী বলেন, আমাদের কিছু কিছু উপদেষ্টা আছেন সরকারের সমালোচনা করলে তারা বিরক্ত হয়, বিভিন্ন মন্তব্য করে। সমালোচনা সহ্য করতে না পারলে উপদেষ্টা পদ ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক দল করেন।

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আজকে যদি চালের দাম বাড়ে আমরা সমালোচনা করব না? আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে কথা বলতে পারবো না? নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলতে পারব না?’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এখনও বাজার সিন্ডিকেট সক্রিয়, সিন্ডিকেট দমনে সরকারের আন্তরিকতা দেখছি না। আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে না, দেশে চুরি ডাকাতি ও হত্যা বেড়ে গেছে। দ্রুত এসব নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।

রিজভী বলেন, আমরা চাই আগামী দিনের গণতন্ত্রের বিকাশ, সত্যিকার মুক্ত পরিবেশ, যেখানে নির্ভয়ে কথা বলা যাবে, সভা-সমাবেশ করা যাবে।

এ সময় মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মির্জানুর রহমান সিনহা, সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আমেদসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *