বুধবার, ডিসেম্বর ৩

স্থায়ী সনদ প্রাপ্তি উদযাপন করল লিডিং ইউনিভার্সিটি

|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||

সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি স্থায়ী সনদ পেয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ধারা ১০ মোতাবেক লিডিং ইউনিভার্সিটি, সিলেট (রাগীব নগর, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট-৩১১২) এর অনুকূলে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে সোমবার (০১ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে ১১টায় লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে নিয়ে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

পরবর্তীতে লিডিং ইউনিভার্সিটির ‍গ‍্যালারী- ১ এ স্থায়ী সনদ প্রাপ্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আব্দুল হাই।

অনুষ্ঠানে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী এবং রয়‍্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার উপাচার্য এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. এ এন এম মেশকাত উদ্দিন।

স্থায়ী সনদ প্রাপ্তি লিডিং ইউনিভার্সিটির জন‍্য একটি বড় অর্জন উল্লেখ করে উপমহাদেশের প্রখ‍্যাত দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী বলেন, এ অর্জন সবার, আজ আমরা সবাই অত্যন্ত খুশি। এ অর্জনের জন‍্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকসহ শুভানুধ্যায়ীদেরকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, স্থায়ী সনদ প্রাপ্তিতে আমাদের দায়িত্ব বেড়ে গেল লিডিং ইউনিভার্সিটির সুনামকে সমৃদ্ধ করার।

তিনি আরো বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির তৃতীয় একাডেমিক ভবনের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেইসাথে রাস্তা বড় করার জন‍্যও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সন্মানিত অতিথি হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মেডিকেল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর প্রতিষ্ঠিত লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থায়ী সনদ প্রাপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখতে এবং গবেষণাগারসহ বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কোলাবোরেশন ও গবেষণা কার্যক্রম আরো ত্বরান্বিত করার পরামর্শ প্রদান করেন এবং লিডিং ইউনিভার্সিটির উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করেন।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই লিডিং ইউনিভার্সিটির অগ্রযাত্রায় সবসময়ই পাশে ছিলেন উল্লেখ করে সন্মানিত অতিথির বক্তব্যে র‍য়‍্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এন এম মেশকাত উদ্দিন বলেন, সরকার এবং ইউজিসির সব নিয়মনীতি মেনে ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ‍্যে ইতোমধ্যে ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী সনদ পেয়েছে তারমধ‍্যে লিডিং ইউনিভার্সিটি একটি। লিডিং ইউনিভার্সিটি একটি প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি, এখন এ প্রতিষ্ঠানকে আরো সামনে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন সময়কালে লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থায়ী সনদ প্রাপ্তি ২০০১ থেকে ২০২৫ সালের একটি মাইল স্টোন এবং কালের সাক্ষী।

তিনি আরো বলেন,
রেংকিং এবং লোকাল, রিজিওনাল ও গ্লোবাল অ‍্যাক্রেডিটেশন পাওয়ার জন‍্য সেকল প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত মানদণ্ডের প‍্যারামিটার জেনে সেভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সর্বোপরি গ্লোবাল ভিশন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই লিডিং ইউনিভার্সিটি এ দেশের এবং বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সারিতে আসতে পারবে। পরিশেষে তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন বলেন, সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটি ২০০১ সালের ৪ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাময়িক সনদ নিয়ে শিক্ষানুরাগী দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর প্রচেষ্টায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে । শুরুতে নগরের প্রাণকেন্দ্র বন্দর বাজারস্থ মধুবন ভবনে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম। ২০১৪ সাল থেকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার রাগীব নগরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা মনোরম পরিবেশে স্থাপিত স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থায়ী সনদ প্রাপ্তিতে অনেকের অবদান রয়েছে, কিন্তু সবচেয়ে বড় কৃতিত্ত্ব দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীর। তিনি তাঁর সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

লিডিং ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কাজী মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য প্রদান করেন ব‍্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভূঁইয়া, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুজ জামান ভূইয়া, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ, প্রক্টর মো. মাহবুবুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. কবির আহমেদ, সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পক্ষে ব‍্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহানশাহ মোল্লা এবং সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষে সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী জুনেদ আহমেদ। দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলীকে নিয়ে কবিতা পাঠ করেন আইন বিভাগের সহকারি অধ‍্যাপক রেজাউল করিম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হাফেজ আব্দুল্লাহ। জাতীয় সংগীতের মধ‍্য দিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং অতিথির কেক কেটে স্থায়ী সনদ প্রাপ্তী উদযাপন করেন দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া পরিচালনা করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ‍্যাপক ড. ফজলে এলাহী মামুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *