
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
টানা ৩৮ দিনের দীর্ঘ লড়াই শেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ২৫ ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী মারজান রহমান। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মারজান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড এলাকার মো. মজিবুর রহমান জমাদ্দারের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর মায়ের সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে রিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে সড়কে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন মারজান। তাৎক্ষণিকভাবে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেলে ভর্তি করেন। সেখানে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। পরবর্তীতে কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছিল। তবে গত ২ ডিসেম্বর পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আজ সকালে তার অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মারজানের অকাল মৃত্যুতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এক শোকবার্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একইভাবে শোক প্রকাশ করেছেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর শেখ শারাফাত হোসেন, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন প্রধান ড. আব্দুল্লাহ আবুসাইদ খান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান ড. আব্দুল্লাহ আবুসাইদ খান ব্যথিত হৃদয়ে বলেন, “মারজান আমাদের অত্যন্ত প্রিয় ও মেধাবী ছাত্রী ছিল। তার এমন অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে ব্যথিত। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।” সহপাঠী নওশীন ইসলাম আনিশা ও খালিদ হোসেন শাওন তাদের প্রিয় বন্ধুর স্মৃতি চারণ করে বলেন, মারজান অত্যন্ত মিশুক ছিল, তার এই আকস্মিক চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। মেধাবী এই শিক্ষার্থীর প্রয়াণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শোকের ধারা বয়ে যাচ্ছে।
